Schengen Visa
শেনজেন ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন
Table of Contents
কিভাবে আবেদন করবেন? কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? ট্যুরিস্ট ভিসার টিউটরিয়াল চাই ? আবেদনের সময় ডকুমেন্টের সিরিয়াল কিভাবে করবো? ইত্যাদি এই সব প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান থাকছে এই ব্লগে।
আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টিউটরিয়াল দেখে আপনি নিজে নিজেই আপনার ইউরোপ/শেনজেন ভিসা করতে পারবেন কোন রকম ঝামেলা/দালাল ছাড়া।
এক নজরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন/শেঞ্জেন
শেনজেন ভিসা হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) ২৭টি দেশ দ্বারা ইস্যু করা একটি ভিসা যা ওইসব দেশে একসঙ্গে ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে। এটি একটি একক ভিসা যা সমস্ত শেঙ্গেন অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এক ভিসায় ২৭টি দেশ ভ্রমন !!!
শেনজেন ভিসা (Schengen Visa) ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলভুক্ত ২৭টি দেশের মধ্যে মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা প্রদান করে। শেনজেন ভিসা দিয়ে আপনি শেনজেন অঞ্চলের কোনো একটি দেশে প্রবেশ করে সমস্ত শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন। শেনজেন অঞ্চলভুক্ত দেশগুলো হলো: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পোর্টগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, লিচটেনস্টেইন, মোনাকো (বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার)।
শেনজেন ভিসা ১৯৯৫ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে, যা শেনজেন এলাকার সদস্য দেশগুলিতে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ভিসা। শেনজেন এলাকা দেশগুলো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং অভিবাসন তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডেটা শেয়ারিং ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যুক্তরাজ্য ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর শেনজেন এলাকা থেকে পৃথক হয়ে যায়। শেনজেন ভিসার ইতিহাস ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ সীমান্ত মুক্ত পরিবেশ গঠনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একীকরণ এবং আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইউরোপ/শেনজেন ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রয়োজন হয়। Schengen Visa বাংলাদেশীদের স্টিকার ভিসা প্রদান করে।
Schengen Countries / European Union
ইউরোপ/শেনজেন ভিসার ময়না তদন্ত!!
ইউরোপ/শেনজেন ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন
> ইউরোপ/শেনজেন ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
০১। ভিসা আবেদনের ফরম।
০২। ৬ মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট। (একাধিক/পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সবগুলাই জমা দিতে হবে)
০৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৪। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩.৫ সেমি x ৪.৫ সেমি) (ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা)।
০৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট সর্বশেষ ৩ থেকে ৬ মাসের (ব্যালেন্স কমপক্ষে ৭-১০ লক্ষ্য টাকা বা তার বেশি) + ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (মোট ব্যালেন্স উল্লেখ থাকা ভাল তবে আবশ্যক না) । আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টে শুধু বড় অঙ্কের অর্থ থাকা যথেষ্ট নয়, বরং আপনার আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে স্থিতিশীল হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
০৬। হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। লিমিটেড কোম্পানি হলে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের ফটোকপি।(ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে)।
০৭। স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।
০৮। NOC নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
০৯। ভিজিটিং কার্ড।
১০। অফিস আইডি কার্ড (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
১১। পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
১২। সর্বশেষ ভিসা কপি (যদি থাকে)
১৩। এয়ার টিকেট বুকিং ও হোটেল বুকিং (অস্থায়ী ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং বা ভ্রমণের পরিকল্পনার তথ্য, যা আপনার ভ্রমণের তারিখ এবং সময়সীমা প্রমাণ করে। নিশ্চিত টিকিট প্রয়োজন হয় না)।
.১৪। ট্রাভেল আইটেনারি বা ভ্রমণ পরিকল্পনা।
১৫। ভ্রমন বীমা। যদি কোনও দুর্ঘটনা বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা হয়, সেক্ষেত্রে ভ্রমণ বীমা আপনাকে সহায়তা করবে। শেঙ্গেন বীমা যা ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত মেডিকেল কভারেজ প্রদান করে।
১৬। ম্যারেজ সার্টিফিকেট (যদি স্বামী স্ত্রী আবেদন করেন)
১৭। আয়কর নথি: সাম্প্রতিক আয়কর প্রদান সম্পর্কিত নথি (Tax Return)।
বিঃদ্রঃ উপরে উল্লিখিত সকল ডোকুমেন্টস ইংরেজিতে হতে হবে। কোনটা যদি বাংলা বা অন্য ভাষায় থাকে তাহলে ইংরেজিতে নোটারি করে নিতে হবে।
ভিসা নমুনা।
সামাজিক মাধ্যমের লিঙ্ক সমূহঃ
——————–
ফেসবুক: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইনস্টাগ্রাম: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
টুইটার: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
লিঙ্কডইন: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইউটিউব: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
Schengen Visa: 6 Essential Tips for Hassle Free Travel | শেনজেন ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন | শেনজেন ভিসা প্রসেসিং | Schengen Visa Processing । Schengen Visa for Bangladeshi | ইউরোপ ভিসা | শেনজেন ভিসা