Bhutan Visa – ভূটান ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন
- ভূটান
- এক নজরে ভূটান
- ভূটান ভিসার ময়না তদন্ত!!
- ★ ভূটান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ Required documents for applying
- ★ আবেদনের ছবি সংক্রান্তঃ What is the photo size for a Bhutan visa?
- ★ ভিসা খরচঃ How much will the visa cost?
- ★ ভিসার মেয়াদঃ How long will the visa be valid for?
- ★ ভিসার আবেদনের বিস্তারিত গাইডলাইনঃ How to apply for a Bhutan visa?
- নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করুন 👇
- অনলাইনে ভিসা আবেদন করুন
- ভিসা নমুনা।
- বিভিন্ন দেশের ভিসা তথ্য জানতে
- উপসংহার
- প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
- সামাজিক মাধ্যমের লিঙ্ক সমূহঃ
কিভাবে আবেদন করবেন? কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? কেন রিজেক্ট হয়? ট্যুরিস্ট ভিসার টিউটরিয়াল চাই ? আবেদনের সময় ডকুমেন্টের সিরিয়াল কিভাবে করবো? ইত্যাদি এই সব প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান থাকছে এই ব্লগে।
আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টিউটরিয়াল দেখে আপনি নিজে নিজেই আপনার ভূটান ভিসা করতে পারবেন কোন রকম ঝামেলা/দালাল ছাড়া।
এক নজরে ভূটান
ভুটান হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর দেশ, যা হিমালয়ের পূর্বাংশে অবস্থিত। ভুটানের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যা দেশটিকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ভুটান একমাত্র দেশ যা তার উন্নতির মানদণ্ড হিসেবে “সুখের জাতীয় সূচক” (GNH) ব্যবহার করে। এটি ভুটানের সরকারের একটি দর্শন যা দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নকে মানুষের সুখ এবং মঙ্গলের সাথে সংযুক্ত করে।
ভুটান একটি পাহাড়ি দেশ এবং এর ভূপ্রকৃতির বৈচিত্র্য অসাধারণ। উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা এবং দক্ষিণে সমতল এলাকা রয়েছে। ভুটান দক্ষিণে ভারত এবং উত্তরে চীনের তিব্বতের সীমান্তবর্তী। দেশের ভূপ্রকৃতিতে উঁচু পর্বত, গভীর উপত্যকা, হ্রদ, এবং নদী রয়েছে। ভুটানের মোট আয়তন প্রায় ৩৮,৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। এটি হিমালয়ের পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট পাহাড়ি দেশ। ভুটানের আয়তনের বেশিরভাগ অংশ পাহাড়ি এলাকা এবং অরণ্যে আচ্ছাদিত।
ভুটানের সংস্কৃতি প্রধানত বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বৌদ্ধ মঠ, মন্দির, এবং স্তূপ রয়েছে। ভুটানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, উৎসব, নৃত্য, এবং গান দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পরিচায়ক। ভুটান শতভাগ ধূমপানমুক্ত দেশ। ভুটানে প্রধানত মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম প্রচলিত, যা দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে, যারা মূলত নেপাল থেকে আসা অভিবাসী।
Bhutan Visa – ভূটান বাংলাদেশের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান করে।
ভূটান ভিসার ময়না তদন্ত!!
ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন – Bhutan Visa Processing
★ ভূটান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ Required documents for applying
০১। ৬ মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট।
০২। ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৩। ৩.৫ সেমি × ৪.৫ সেমি সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি (ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা)।
০৪। ভিসা ফি: অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভিসা ফি দিতে হবে, যা সাধারণত দৈনিক প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
০৫। হোটেল বুকিং।
০৬। এয়ার রিটার্ন টিকিট।
★ আবেদনের ছবি সংক্রান্তঃ What is the photo size for a Bhutan visa?
১। ছবি সদ্য তোলা হতে হবে।
২। ছবিতে কাপড় দ্বারা কান ঢাকা বা মুখমন্ডলের বেশিরভাগ অংশ আবৃত থাকা যাবেনা।
৩। পূর্বের ভিসাতে প্রদানকৃত ছবি পূনরায় নতুন আবেদনের সাথে না দেয়াই শ্রেয়।
৪। ছবি ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে এবং ছবি হতে পূনরায় ছবি তৈরী করলে তা অষ্পষ্ট হয়, এতে সমস্যা হতে পারে।
৫। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩.৫ সেমি × ৪.৫ সেমি, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা)
★ ভিসা খরচঃ How much will the visa cost?
বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য বিদ্যমান ভ্রমণ নীতি সংশোধন করেছে ভূটান। দেশটির পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, নতুন ভ্রমণ নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশি পর্যটকদের টেকসই উন্নয়ন ফি (এসডিএফ) হিসেবে প্রতিদিন ১৫ মার্কিন ডলার দিতে হবে। যা আগে ছিল দিনে ২০০ ডলার।
★ ভিসার মেয়াদঃ How long will the visa be valid for?
ভূটানের ভিসা মেয়াদ নির্ভর করে আপনি কত দিনের ভিসা করছেন তার উপর। কারণ ভূটান প্রতিদিন হিসাবে চার্জ করে, মানে আপনি যতদিনের ভিসা নিবেন ঠিক ততো দিনের জন্যই ফি প্রদান করতে হবে । ট্যুরিস্ট ভিসায় সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়। প্রয়োজনে এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
★ ভিসার আবেদনের বিস্তারিত গাইডলাইনঃ How to apply for a Bhutan visa?
> ভূটান ভিসা আবেদন ধাপঃ
ট্যুর অপারেটর নির্বাচন করুন: ভুটান সরকার শুধুমাত্র লাইসেন্সড ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ভিসা ইস্যু করে। আপনি ভুটানের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাইসেন্সড অপারেটর খুঁজে নিন।
ট্যুর প্যাকেজ বুক করুন: ভুটানে ভ্রমণের জন্য একটি ট্যুর প্যাকেজ বুক করুন। ট্যুর অপারেটর আপনার ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
তথ্য সরবরাহ করুন: ট্যুর অপারেটরকে আপনার পাসপোর্টের কপি, ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করুন।
ভিসা আবেদন জমা দিন: ট্যুর অপারেটর আপনার হয়ে ভিসা আবেদন জমা দেবে।
ভিসা অনুমোদন: সাধারণত ৫-৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভিসা অনুমোদিত হয়। ভিসা অনুমোদিত হলে, ট্যুর অপারেটর আপনাকে জানাবে।
ভ্রমণ শুরু করুন: ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনি ভুটানে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভুটানে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনে আপনার ভিসা চেক করা হবে।
ট্যুরিস্ট ভিসা ফি: USD 40 (একবার প্রবেশের জন্য)।
দৈনিক ট্যুরিস্ট ট্যারিফ: ভুটানে ভ্রমণের জন্য একটি দৈনিক ট্যারিফ দিতে হয়, যা সাধারণত USD 200-250 (হোটেল, খাবার, গাইড এবং পরিবহন সহ)।
বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য বিদ্যমান ভ্রমণ নীতি সংশোধন করেছে ভূটান। দেশটির পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, নতুন ভ্রমণ নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশি পর্যটকদের টেকসই উন্নয়ন ফি (এসডিএফ) হিসেবে প্রতিদিন ১৫ মার্কিন ডলার দিতে হবে। যা আগে ছিল দিনে ২০০ ডলার।
> সড়ক পথে ঢাকা থেকে ভূটান যেতে হলে করণীয়ঃ
সড়ক পথে ভূটান যেতে হলে আপনাকে প্রথমেই ভারতের ট্রানজিট ভিসা (ডাবল এন্ট্রি) নিতে হবে। ট্রানজিট ভিসা নেওয়ার সময় এন্ট্রি এবং এক্সিট পোর্ট দেবেন চ্যাংড়াবান্ধা/ জয়গাঁও।
(বর্তমানে ইন্ডিয়া ট্রানজিট ভিসা বাংলাদেশীদের দেয় না বললেই চলে)
> ঢাকা থেকে যেভাবে সড়ক পথে ভূটান যাবেনঃ
শুরুতে বাসে করে যেতে হবে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে। ঢাকার কল্যাণপুর-শ্যামলী-গাবতলী থেকে হানিফ, আনাস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, শ্যামলী, এসআর, মানিক, নাবিল পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বাস ছাড়ে।
ভাড়া ৮০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। রাত ৯টার মধ্যে এসব বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। পরদিন সকালে অর্থাৎ ভোরে পৌঁছে যায় বুড়িমারী। বাংলাদেশের এ পাশের নাম বুড়িমারী, আর ভারতের ওপাশের নাম চ্যাংড়াবান্ধা। সীমান্ত খোলা হয় সকাল ৯টায়।
এ পাশের ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে চ্যাংড়াবান্ধা যেতে হবে। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা সেরে উত্তর-উত্তর-পূর্ব পথ ধরে যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গের ‘জয়গাঁও’ সীমান্তে। চ্যাংড়াবান্ধা থেকে ট্যাক্সিতে যাওয়া যায় জয়গাঁও। সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো। ট্যাক্সিতে ৫০০ রুপি মতো খরচ পড়ে জনপ্রতি। রিজার্ভ যেতে চাইলে লাগবে দেড় থেকে দুই হাজার রুপি। বাসেও যাওয়া যায়। আছে চ্যাংড়াবান্ধা-জয়গাঁও বাস সার্ভিসও। সেক্ষেত্রে খরচ কমই হবে।
জয়গাঁও থেকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পয়েন্ট যেতে টেম্পোতে চড়তে হয়। ২০/৩০ রুপির মতো খরচে যেতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর সেখানে ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে হেঁটেই ঢুকতে হবে ভুটান। ভুটানের প্রবেশপথ হলো ফুন্টসোলিং। এখানেই মেলে ভুটানের অন-অ্যারাইভাল ভিসা।
ভূটান ঢোকার পর ফুন্টসোলিংওয়ে থাকা যায়। আবার কেউ চাইলে ‘পারো’ অথবা ‘থিম্পু’ যেতে পারেন। পাশের বাসস্ট্যান্ড থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেষ বাস ছেড়ে যায়। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে পারো কিংবা থিম্পু যাওয়া যায়। সময় লাগে ছয় ঘণ্টা।
যা যা দেখবেন
প্রথম দিনই থিম্পু থেকে পুনাখা শহরে যাওয়ার পারমিট করিয়ে রাখলে পরে কোনো সময় নষ্ট হবে না। অর্থাৎ ফুন্টসোলিং থেকে শুধু ‘পারো’ অথবা ‘থিম্পু’তে প্রবেশের পারমিশন দেবে। এরপর বাকি স্থানের পারমিশন করে নিতে হবে থিম্পু থেকে।
দ্বিতীয় দিন যাত্রা করা যাবে পুনাখার উদ্দেশ্যে। সকাল ১০টায় রওনা দিলে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে।
যাওয়ার পথেই দেখা মেলে দুচালা, পুনাখা জং এবং সাসপেনশন ব্রিজের। সারাদিন ঘুরে রাতে আবার থিম্পুতে ফিরে আসাটাই ভালো। পুনাখাতে থাকার মতো তেমন ভালো হোটেল নেই।
তৃতীয় দিন পারো দেখতে যাওয়া যায়।
চতুর্থ দিনে ঘুরে আসতে পারেন টাইগার নেস্ট/তাকসিন থেকে। ভুটানের ধর্মীয় এবং পর্যটনের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো টাইগার নেস্ট। তিন হাজার ফুট হেঁটে উঠতে হয় সেখানে।
জেনে নিন কিছু জরুরী তথ্যঃ
ভারতীয় ভিসাসহ পাসপোর্টের ফটোকপির কয়েক কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের দু-তিনটি ফটোকপি, চাকরিজীবী হলে এনওসি (অনাপত্তি পত্র), ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের কপি, স্টুডেন্ট হলে আইডি কার্ডের দু-একটি ফটোকপি সঙ্গে রাখবেন।
ভুটানে সরকারি ছুটি অনেক বেশি, তাই সরকারি ছুটির লিস্ট দেখে ভ্রমণ প্ল্যান করাই ভালো।
ভূটান শতভাগ ধূমপানমুক্ত দেশ। সুতরাং প্রকাশ্যে বা পাবলিক প্লেসে ধুমপান করলে জরিমানা নিশ্চিত।
আর নিজস্ব প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র বাংলাদেশ থেকেই নিয়ে গেলেই সবথেকে ভালো হয়।
এছাড়া সেখানে রাত ৯টার মধ্যেই সব দোকান ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এই দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
“RKS“
নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করুন 👇
ভিসা নমুনা।
উপসংহার
ভুটান ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ থেকে সহজ এবং সুসংগঠিত। যেহেতু ভুটান সরকার শুধুমাত্র লাইসেন্সড ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ভিসা ইস্যু করে, তাই আপনাকে একটি নির্ভরযোগ্য ট্যুর অপারেটর নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশি নাগরিকরা ভুটানে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। আশা করি, এই ব্লগটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
সামাজিক মাধ্যমের লিঙ্ক সমূহঃ
ফেসবুক: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইনস্টাগ্রাম: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
টুইটার: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
লিঙ্কডইন: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইউটিউব: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
Bhutan Visa: 6 Essential Tips for Hassle Free Travel | ভূটান ভিসা প্রসেসিং ও গাইডলাইন | ভূটান ভিসা প্রসেসিং | Bhutan Visa Processing । Bhutan Visa for Bangladeshi