থাইল্যান্ড ট্যুর - Thailand Tour Guide
ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড ট্যুর সম্পূর্ণ গাইডলাইন
সূচিপত্র
স্বাগতম সবাইকে!
Thailand Tour Guide & Best Tour Plan – থাইল্যান্ড রঙিন ও বৈচিত্র্যময় । ব্যাংককের ঐতিহ্যবাহী মন্দির থেকে পাতায়ার নান্দনিক সৈকত, ফুকেটের স্ফটিক স্বচ্ছ জলরাশি থেকে ক্রাবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য—প্রতিটি গন্তব্যে রয়েছে নতুন অভিজ্ঞতা এবং মুগ্ধ হওয়ার অবকাশ।
থাইল্যান্ডে ভ্রমণের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনি পাবেন এই দেশের অনন্য সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং আতিথেয়তার স্বাদ।
আপনাকে আমাদের ব্লগে স্বাগত জানাই, এবং আশা করছি আপনি থাইল্যান্ডের এই রোমাঞ্চকর ও বিস্ময়কর ব্লগের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করবেন!
Thailand Tour Dhaka to Thailand Dhaka to Bangkok
থাইল্যান্ড ট্যুরঃ আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
🌇 ব্যাংকক – বৈচিত্র্যময় শহরের গল্পঃ
গ্র্যান্ড প্যালেস ও ওয়াট ফ্রা কেও: থাইল্যান্ডের রাজকীয় ইতিহাসের ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন গ্র্যান্ড প্যালেস থেকে, যা থাই রাজাদের ঐতিহাসিক বাসস্থান। এখানে এমেরাল্ড বুদ্ধের মন্দিরের অবস্থিত যা এক ঐতিহাসিক স্থান।
ওয়াট অরুন (ভোরের মন্দির): চাও ফ্রায়া নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
চাতুচাক উইকএন্ড মার্কেট: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওপেন-এয়ার মার্কেটে ঘুরে দেখুন যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায় – স্থানীয় হস্তশিল্প, পোশাক, সুগন্ধি ও সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড।
সুকুমভিত রোড ও খাও সান রোড: ব্যাংককের রাত্রিকালীন জীবনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র; এখানে পাবেন বিভিন্ন বার, ক্লাব এবং রাস্তার পাশে খাবারের স্টল।
🏖️ পাতায়া – এক ট্রপিকাল অভিজ্ঞতাঃ
পাতায়া বিচ:পাতায়ার বিখ্যাত সৈকতে উপভোগ করুন সূর্যস্নান, সাঁতার, এবং বিভিন্ন জলক্রীড়া যা আপনার মনকে সতেজ করবে।
কোরাল আইল্যান্ড (কোহ লার্ন): পাতায়ার কাছের এই দ্বীপে নৌকা ভ্রমণ করুন এবং স্বচ্ছ নীল পানির নিচে স্নরকেলিং ও ডাইভিং করে দেখুন।
ওয়াকিং স্ট্রিট: পাতায়ার রাতের জীবন উপভোগ করুন যেখানে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে – লাইভ মিউজিক, খাবারের স্টল, এবং আরও অনেক কিছু।
নং নুচ ট্রপিকাল বোটানিকাল গার্ডেন: এই সুন্দর বাগানে ঘুরে আসুন যা ঐতিহ্যবাহী থাই শো, হাতি প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের জন্য বিখ্যাত।
🏝️ ফুকেট – সমুদ্রের বুকে অবকাশযাপনঃ
পাটং বিচ: ফুকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত সৈকত, যেখানে আপনি দিনরাত বিভিন্ন রকমের বিনোদন, যেমন সূর্যস্নান, সাঁতার, ওয়াটার স্পোর্টস, এবং রাতে জমজমাট পার্টি উপভোগ করতে পারবেন।
বিগ বুদ্ধ: ফুকেটের পাহাড়ের ওপর অবস্থিত বিশাল এই বুদ্ধ মূর্তি থেকে পুরো ফুকেট শহর এবং সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। এটি একটি আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান।
ফাং গা বে (Phang Nga Bay): বিখ্যাত “জেমস বন্ড আইল্যান্ড” সহ এই অঞ্চলের চুনাপাথরের মনোরম শিলাগুলি দেখার জন্য নৌকা ভ্রমণে যোগ দিন।
সিমিলান আইল্যান্ডস: ডাইভিং এবং স্নরকেলিং-এর জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপগুলির স্বচ্ছ নীল জল এবং সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন উপভোগ করুন।
🌴 ক্রাবি – প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধনঃ
রাইলি বিচ: পাহাড়ে ঘেরা এই বিচটি শুধুমাত্র নৌকা দিয়ে পৌঁছানো যায় এবং এটি রক ক্লাইম্বিং, সাঁতার, এবং সূর্যস্নানের জন্য জনপ্রিয়।
ফি ফি আইল্যান্ড: ক্রাবির অন্যতম আকর্ষণীয় দ্বীপ, যা স্বচ্ছ নীল জল, রঙিন সামুদ্রিক প্রাণী, এবং মনোরম পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। এটি “দ্য বিচ” সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবেও পরিচিত।
আমাজন ক্যাভস (থাম ফ্রা নং নাকা): গাইডেড কায়াক ভ্রমণের মাধ্যমে এই সুন্দর প্রাকৃতিক গুহাগুলি অন্বেষণ করুন, যেখানে চুনাপাথরের গঠন এবং গুপ্ত জঙ্গলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে।
এমেরাল্ড পুল ও হট স্প্রিংস: ক্রাবির অভ্যন্তরে গরম পানির ঝরনা এবং স্বচ্ছ জলাধার যা আরামদায়ক স্নানের জন্য আদর্শ।
🍜 থাই সংস্কৃতি ও খাবারঃ
স্ট্রিট ফুডের স্বাদঃ থাইল্যান্ডের বিখ্যাত স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নিন, যেমন প্যাড থাই, টম ইয়াম কুঁং, এবং স্যাটে। ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেট, ও ক্রাবির রাস্তায় ঘুরে ঘুরে স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করুন।
প্রচলিত থাই মাসাজঃ আপনার ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক করতে থাই মাসাজের অভিজ্ঞতা নিতে ভুলবেন না, যা এই দেশের একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
🚗 ভ্রমণ টিপসঃ
যাতায়াত: ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেট, ও ক্রাবির মধ্যে সহজ যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে জানুন, যেমন ফ্লাইট, বাস, ট্রেন, বা ব্যক্তিগত গাড়ি।
থাকার ব্যবস্থা: ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেট, ও ক্রাবিতে বিভিন্ন বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী হোটেল ও রিসোর্টের সুপারিশ সম্পর্কে জানুন।
**থাইল্যান্ড এর ইতিহাস**
থাইল্যান্ডের ইতিহাস একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় গঠন নিয়ে গঠিত, যা এশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।
ব্যাংকক (রতনকোসিন) সাম্রাজ্যঃ ১৭৮২ সালে বর্তমান রাজধানী ব্যাংকক প্রতিষ্ঠিত হয়। চক্রি রাজবংশের প্রথম রাজা, রাজা রামা ব্যাংকককে রাজধানী করেন। এই যুগে থাইল্যান্ড পশ্চিমা শক্তির প্রভাব মোকাবেলা করে আধুনিকায়ন এবং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে গেছে।
আধুনিক থাইল্যান্ড: ১৯৩২ সালে একটি রক্তপাতহীন বিপ্লবের মাধ্যমে থাইল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে, থাইল্যান্ডে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে এবং সামরিক শাসনের সময়কাল পার করেছে। বর্তমানে থাইল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ইতিহাস
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পর্যটনঃ ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ বিগত কয়েক দশকে থাইল্যান্ডে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংকট, অভ্যুত্থান এবং সামরিক শাসনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং বর্তমানে থাইল্যান্ড একটি সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা শাসিত। থাইল্যান্ডের ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই কিভাবে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জনগণের সমন্বয় গড়ে উঠেছে। দেশটি তার স্বতন্ত্র পরিচয় রক্ষায় সবসময় সচেষ্ট থেকেছে, যা ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত হয়েছে।
থাইল্যান্ড একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং আধুনিক উন্নয়নের দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। নিচে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ তথ্য দেওয়া হলো:
ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা
থাইল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, যা মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, এবং মালয়েশিয়ার সাথে সীমানা ভাগ করেছে। থাইল্যান্ডের মোট আয়তন প্রায় ৫১.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। এর রাজধানী হলো ব্যাংকক, যা দেশের বৃহত্তম শহর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র। থাইল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি, যার অধিকাংশই থাই জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থা
থাইল্যান্ডেরএকটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাজা এবং সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান রাজা মহা বজিরালংকর্ন (রামা X) ২০১৬ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। থাইল্যান্ডে একটি পার্লামেন্টারি সিস্টেম চালু আছে, যা সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের আদলে পরিচালিত হয়।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
থাইল্যান্ডের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বহুমাত্রিক। বৌদ্ধ ধর্ম থাইল্যান্ডের প্রধান ধর্ম এবং দেশটির প্রায় ৯৫% মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। থাইল্যান্ডের সংস্কৃতিতে ধর্মের প্রভাব খুবই গভীর, যা তাদের স্থাপত্য, শিল্পকলা, এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত হয়। থাই নৃত্য, সংগীত, এবং থাই মার্শাল আর্ট (মুয়াই থাই) থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যের অংশ।
উৎসবঃ থাইল্যান্ডের বিভিন্ন রঙিন উৎসব রয়েছে যেমন সংক্রান (থাই নববর্ষ), যা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং মানুষ জল ছিটিয়ে একে অপরকে আশীর্বাদ করে। এছাড়া লোই ক্রাথং আরেকটি জনপ্রিয় উৎসব, যেখানে মানুষ নদীতে ছোট, সজ্জিত নৌকা ভাসিয়ে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ ভ্রমনঃ ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড ভ্রমণের খরচ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন ভ্রমণের সময়, ফ্লাইটের ধরন, থাকার ব্যবস্থা, খাবার, ঘোরার স্থান, এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর।। আমি ২০২৩ এর নভেম্বার মাসে এই ভ্রমন সম্পূর্ণ করি। ঢাকা-ব্যাংকক-পাতায়া-ঢাকা ৫রাত ৬দিন এর মোট খরচ ছিল ৭৫,৫০০ টাকা (ভিসা সহ) কোন রকম ঝামেলা ছাড়া। আমি একটু বেশি খরচ করেছিলাম বাজেট ট্রাভেল করলে আরো কমে ট্যুর কমপ্লিট করতে পারবেন। আর লাক্সারি ট্যুর এর জন্য আপনার আনুমানিক ১,০০,০০০ টাকাই যথেষ্ট। বাজেট ট্যুরের জন্য ৫০-৬০ হাজারেই সম্ভব (আমাদের টাকার মানের উপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে কেমন খরচ হবে)।
ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ ট্যুর গাইডলাইন | Thailand Tour Guide । Thailand Tour । Thailand Visa ।
বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখুন। 👇By RKS
থাইল্যান্ড ট্যুর ভিডিও - Thailand Tour Guide Video
কম খরচে ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড ট্যুরঃ
**৫ রাত ৬ দিনের ট্যুর প্লান**
১ম দিন: ঢাকা থেকে ব্যাংকক, তারপর পাতায়া যাত্রা
ফ্লাইট: সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট।
এয়ারপোর্ট থেকে পাতায়া যাত্রা: ব্যাংককে পৌঁছে ইমিগ্রেশন এবং লাগেজ সংগ্রহের পর এয়ারপোর্ট থেকে ১৪৩ বাথ দিয়ে বাসে পাতায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
পাতায়ায় আগমন: সন্ধ্যার দিকে পাতায়া পৌঁছাবেন, প্রায় রাত ৮টার দিকে। হোটেলে চেক-ইন করুন।
রাত্রিযাপন: পাতায়ার হোটেলে রাত্রিযাপন।
২য় দিন: পাতায়া (কোরাল আইল্যান্ড ও ওয়াকিং স্ট্রিট)
কোরাল আইল্যান্ড ট্যুর: সকালে হোটেলে নাস্তা করে ট্যুর প্যাকেজের মাধ্যমে কোরাল আইল্যান্ড (কোহ লার্ন) ঘুরতে যান। এখানে স্নরকেলিং, প্যারাসেইলিং, এবং অন্যান্য জলক্রীড়ার মজা নিতে পারবেন।
দুপুরের খাবার: কোরাল আইল্যান্ড ট্যুরের অংশ হিসেবে দুপুরের খাবার উপভোগ করুন।
বিকেলের কার্যক্রম: পাতায়ায় ফিরে এসে কিছু বিশ্রাম নিন। অথবা বিখ্যাত থাই-মাসাজ নিতে পারেন।
ওয়াকিং স্ট্রিট: রাতের বেলায় পাতায়ার বিখ্যাত ওয়াকিং স্ট্রিটে ঘুরে বেড়ান, যেখানে নানা ধরনের বার, রেস্টুরেন্ট, এবং লাইভ মিউজিক শো রয়েছে।
রাত্রিযাপন: পাতায়ার হোটেলে রাত্রিযাপন।
৩য় দিন: পাতায়া থেকে ব্যাংকক যাত্রা
হোটেল চেক-আউট: সকালে হোটেল থেকে চেক-আউট করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
ব্যাংকক আগমন: দুপুরের আগে ব্যাংকক পৌঁছান এবং হোটেলে চেক-ইন করুন।
দুপুরের কার্যক্রম: হোটেলে চেক-ইন করার পর বিশ্রাম নিন অথবা কাছাকাছি কোনো রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করুন।
শপিং ও সন্ধ্যার কার্যক্রম: সন্ধ্যায় ব্যাংককের শপিং সেন্টারগুলো (যেমন: সিয়াম প্যারাগন, এমবিএকে সেন্টার) ঘুরে দেখুন।
রাত্রিযাপন: ব্যাংককের হোটেলে রাত্রিযাপন।
৪র্থ দিন: ব্যাংকক সিটি ট্যুর
গ্র্যান্ড প্যালেস ও ওয়াট ফ্রা কেও (Temple of the Emerald Buddha): সকালের দিকে এই দুটি ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখুন। থাই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।
ওয়াট অরুন (Temple of Dawn): দুপুরের পরে চাও ফ্রায়া নদীর ওপারে এই সুন্দর মন্দিরটি ঘুরে দেখুন।
চাও ফ্রায়া নদীতে নৌকা ভ্রমণ: ব্যাংককের প্রাণবন্ত চাও ফ্রায়া নদীতে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন দৃশ্য উপভোগ করুন।
রাত্রিযাপন: ব্যাংককের নানা সেন্টার হোটেলে রাত্রিযাপন।
৫ম দিন: কিং পাওয়ার মহা নাখন স্কাইওয়াক ও রাতের কার্যক্রম
কিং পাওয়ার মহা নাখন স্কাইওয়াক: সকালে ব্যাংককের সবচেয়ে উঁচু স্কাইওয়াক, কিং পাওয়ার মহা নাখন (৭৮ তলা) এ যান। গ্লাসের মেঝের ওপর দাঁড়িয়ে পুরো ব্যাংকক শহরের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করুন।
বিকেলের কার্যক্রম: স্কাইওয়াক থেকে নেমে শহরের অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান ঘুরে দেখুন অথবা শপিং করুন।
রাত্রিকালীন কার্যক্রম: রাতে ব্যাংককের রাত্রিকালীন জীবন উপভোগ করুন, যেমন স্থানীয় বার বা রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে যেতে পারেন।
রাত্রিযাপন: ব্যাংককের নানা সেন্টার হোটেলে রাত্রিযাপন।
৬ষ্ঠ দিন: ব্যাংকক থেকে ঢাকা ফেরত
সকালের কার্যক্রম: সকালের নাস্তা করুন এবং হোটেল থেকে চেক-আউটের প্রস্তুতি নিন।
এয়ারপোর্ট যাত্রা: দুপুরের আগে ব্যাংকক এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে রওনা হন।
ফ্লাইট: ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ধরে দেশে ফিরে আসুন।
খরচঃ লাক্সারি ট্যুর এর জন্য আপনার আনুমানিক ১ লক্ষ টাকাই যথেষ্ট। বাজেট ট্যুরের জন্য ৫৫-৬০ হাজারেই সম্ভব (আমাদের টাকার মানের উপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে কেমন খরচ হবে)।
এই ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপনি থাইল্যান্ডের অন্যতম সেরা দুটি স্থান ব্যাংকক এবং পাতায়া উপভোগ করতে পারবেন। প্রতিটি দিনকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণ একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে।
উপসংহার
সমাপ্তিতে বলা যায়, থাইল্যান্ড একটি মনোমুগ্ধকর দেশ যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং আধুনিকতার মিশেল রয়েছে। এই ব্লগে আমরা থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী মন্দির, মনোরম সমুদ্র সৈকত, সুস্বাদু খাবার এবং আকর্ষণীয় স্থানগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। থাইল্যান্ড সত্যিই অসাধারণ সুন্দর।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
হ্যাঁ, থাইল্যান্ড ভ্রমনের জন্য বাংলাদেশ বা অন্যন্য দেশের নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভিসা আবশ্যক।
লাক্সারি ট্যুর এর জন্য আপনার আনুমানিক ১ লক্ষ টাকাই যথেষ্ট। বাজেট ট্যুরের জন্য ৫৫-৬০ হাজারেই সম্ভব (আমাদের টাকার মানের উপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে কেমন খরচ হবে)।
ব্যাংকক,পাতায়া, ফুকেট ও ক্রাবি সব দেখতে হলে ১০-১২ দিন হাতে রাখাই ভালো সেক্ষেত্রে ব্যয় একটু বাড়বে তাই বাজেটও একটু বাড়াতে হবে। তবে ৫ রাত ৬ দিনই যথেষ্ট।
থাইল্যান্ড ভিসার বিস্তারিত এই লিঙ্ক এ।
সামাজিক মাধ্যমের লিঙ্ক সমূহঃ
ফেসবুক: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইনস্টাগ্রাম: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
টুইটার: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
লিঙ্কডইন: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
ইউটিউব: 👆এখানে ক্লিক করুন👆
থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ ট্যুর গাইডলাইন | Thailand Tour Guide | Dhaka to Thailand | Dhaka to Bangkok । Thailand Visa । ঢাকা থেকে ব্যাংকক
1 Comment
Blog Wrighting is awesome❤️ if the videos available on this site then it was more Good.